আমিনুল ইসলাম: [২] বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, জনগণের ওপর গত পনের বছর যে সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে, ক্ষমতায় না থাকলে কি পরিণতি হবে সেই ভয়ও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয় আর লোভ থেকে যে নির্বাচনী প্রহসনের আয়োজন তাতে জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নাই। 

[৩] শনিবার ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন: বর্জন, অংশগ্রহণ ও ডামি ভোটাভুটি’ শীর্ষক নির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টি এ আলোচনার আয়োজন করে।

[৪] আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন,  এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, এমপিরা যে হলফ নামা দিয়েছে তা আগে দেখলে মানুষ আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কোনো পার্টি করতো না।পত্রিকায় দেখলাম একজনেরই তিনশো ফ্ল্যাট, যার সবই না কি ইউরোপ আমেরিকায়। 

[৫] গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকে সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারেনা। যেখানে বিরোধীদল কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনা, পোস্টার লাগাতে পারেনা সেখানে নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে। বিগত ২০১৪ সাল থেকে দেশের নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে ভারতের পরিকল্পনায়। 

[৬] খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, সরকারের এই জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের একসাথে রুখে দাঁড়াতে হবে। ডান, বাম দেখার আর সময় নাই। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলের এই প্রক্রিয়া বার বার চলতে দেয়া যায়না। সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনে বাধ্য করতে হবে। 

[৭] বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি বলেছেন বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। এই ধরনের কথা আমরা আমরা বাকশাল কায়েমের আগে শুনেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে আজ রাজনীতি বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী